সৌন্দর্যের আধার সুন্দরবন
প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্যে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্রত্নস্থান, মসজিদ, মন্দির, পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি। এর মধ্যে কোনো কোনোটি বিশ্ব-ঐতিহ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে আসেন। কিন্তু কোনো কোনো স্থানে থাকা, খাওয়া এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিলে আরও অধিক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। দেশের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা নিয়ে আজকের বিশেষ আয়োজন।
এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিলে আরও অধিক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। দেশের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা নিয়ে আজকের বিশেষ আয়োজন।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব-বৈচিত্র্যে ভরপুর। প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এই সুন্দরবন ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ছয়বার রূপ বদলায়। সুন্দরবনের মোট আয়তনের মধ্যে বনভাগের পরিমাণ ৪ হাজার ১৪৩ বর্গকিলোমিটার ও জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার। এ বনে রয়েছে প্রায় ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল।
সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, গরান, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। বন্যপ্রাণীর বৃহত্তম আবাসস্থল সুন্দরবনে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল-মায়া হরিণ, লোনা পানির কুমির, অজগর, কচ্ছপ, বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতী ডলফিনসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরিসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর ও ৩০০ প্রজাতির পাখি। ২০০৪ সালে সুন্দরবনে ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত প্রাণী জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৪৪০টি, হরিণ দেড় লাখ, বানর ৫০ হাজার, বন্যশূকর ২৫ হাজার, কুমির ২০০, উদবিড়াল ২৫ হাজার। ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া, এক প্রজাতির লবস্টার ও ৪২ প্রজাতির মালাস্কা।
এ বন থেকে প্রতিবছর মধু আহরিত হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি সুন্দরবনের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন সুন্দরবনকে ৫৫২তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এই সুন্দরবনে প্রতিবছর মধু আহরণ মৌসুমে অন্তত ১ হাজার মৌয়াল বনে প্রবেশ করে। তাদের পাশাপাশি জেলে ও বাওয়ালি মিলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এ বনের ওপর নির্ভরশীল।
সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, গরান, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। বন্যপ্রাণীর বৃহত্তম আবাসস্থল সুন্দরবনে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল-মায়া হরিণ, লোনা পানির কুমির, অজগর, কচ্ছপ, বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতী ডলফিনসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরিসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর ও ৩০০ প্রজাতির পাখি। ২০০৪ সালে সুন্দরবনে ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত প্রাণী জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৪৪০টি, হরিণ দেড় লাখ, বানর ৫০ হাজার, বন্যশূকর ২৫ হাজার, কুমির ২০০, উদবিড়াল ২৫ হাজার। ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া, এক প্রজাতির লবস্টার ও ৪২ প্রজাতির মালাস্কা।
এ বন থেকে প্রতিবছর মধু আহরিত হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি সুন্দরবনের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন সুন্দরবনকে ৫৫২তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এই সুন্দরবনে প্রতিবছর মধু আহরণ মৌসুমে অন্তত ১ হাজার মৌয়াল বনে প্রবেশ করে। তাদের পাশাপাশি জেলে ও বাওয়ালি মিলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এ বনের ওপর নির্ভরশীল।
২০১১-১২ অর্থবছরে সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে মোট ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৮ জন পর্যটক ভ্রমণ করেন। এর মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ৪ হাজার ১৬ জন। এ খাত থেকে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৫ টাকা। বর্তমানে ছোট-বড় ২৯টি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান সুন্দরবনে পর্যটক ভ্রমণকাজে নিয়োজিত আছে। এদের রয়েছে আধুনিক জলযান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সুন্দরবনের করমজল বন্য ও কুমির প্রজনন কেন্দ্র, হারবাড়িয়া ইকো সেন্টার, কটকা, কচিখালি ও নীলকমল অভয় অরণ্য, শেখেরহাট টেম্বপল, কলাগাছিয়া ইকোটুরিজম সেন্টার, মান্দারবাড়িয়া অভয় অরণ্য নামের স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত। এসব স্পটে কুমির প্রজনন, অসুস্থ হরিণের পরিচর্যা, হাজার বছরের পুরনো স্থাপনার ধ্বংসাবশেষসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর্ উপভোগ করা যাবে।
এসব স্পটে বনের মধ্য দিয়ে এক থেকে পাঁচ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা কাঠের তৈরি পথ (ওয়াকওয়ে) করা আছে। পর্যটকরা ইচ্ছা করলে হেঁটে হেঁটে বনের ভেতরের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারবে। ভাগ্য সহায় হলে হাঁটতে হাঁটতে বানর, হরিণ, গোসাপ, কাঁকড়া অথবা কুমিরের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যও দেখতে পারেন। সুন্দরবন বন বিভাগ পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বনের মধ্যে কুমির পালন-প্রজনন কেন্দ্র, হরিণ পালন-প্রজনন কেন্দ্র, সাপ সংরক্ষণ ও প্রজনন কেন্দ্র, বানরের বসবাসের জন্য পাকা ঘর, অবজারভেশন টাওয়ার, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন কেন্দ্রের চারদিকের প্লাস্টিকের আবরণযুক্ত তারের বেড়া, পর্যটকদের বসার জন্য ২২টি ছাউনিযুক্ত বসার স্থান ও আরসিসি জেটি নির্মাণ, সেমি-পাকা অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, পর্যটকদের বন অভ্যন্তরে কাঠের ডেকিংযুক্ত ফুটটেইল শেল্টার প্যানেল, মোটরযান ক্রয়, লঞ্চ নির্মাণ, স্টিল বডি ট্রলার নির্মাণ, অডিও, ভিডিও ক্যামেরা, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ট্রাকুলাইজিং (বন্যপ্রাণী অবচেতন করা বন্দুক) গান ক্রয়, চারটি পর্যটন কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, পর্যটন কেন্দ্রের ভূমি উন্নয়ন, দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট সুন্দরবন তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ, সেমি-পাকা টিকিট ঘর, সেন্ট্রি বক্স, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সুন্দরবনের ডিসপ্লে ম্যাপ ও পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।
বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানি সরকারের অর্থ সহয়তায় এসব উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও বন বিভাগের সমন্বয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সিএমসি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বনের চারপাশের বসতি এলাকায় এসব কমিটি কাজ করছে। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের ডিএফও জহির উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সিডর ও আইলায় সুন্দরবনের যে ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠে নতুন রূপ নিয়েছে সুন্দরবন। এটা সম্ভব হয়েছে বনকে ডিস্টার্বের হাত থেকে রক্ষার মাধ্যমে। এখানে ব্যাপক ট্যুরিজম করা যাবে না।
এ কারণে নির্দিষ্ট কিছু স্পট পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। ব্যাপকভাবে ট্যুরিজম করলে বনের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, বিদেশি অর্থ সহায়তায় সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বনরক্ষীদের আরও কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে।
এসব স্পটে বনের মধ্য দিয়ে এক থেকে পাঁচ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা কাঠের তৈরি পথ (ওয়াকওয়ে) করা আছে। পর্যটকরা ইচ্ছা করলে হেঁটে হেঁটে বনের ভেতরের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারবে। ভাগ্য সহায় হলে হাঁটতে হাঁটতে বানর, হরিণ, গোসাপ, কাঁকড়া অথবা কুমিরের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যও দেখতে পারেন। সুন্দরবন বন বিভাগ পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বনের মধ্যে কুমির পালন-প্রজনন কেন্দ্র, হরিণ পালন-প্রজনন কেন্দ্র, সাপ সংরক্ষণ ও প্রজনন কেন্দ্র, বানরের বসবাসের জন্য পাকা ঘর, অবজারভেশন টাওয়ার, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন কেন্দ্রের চারদিকের প্লাস্টিকের আবরণযুক্ত তারের বেড়া, পর্যটকদের বসার জন্য ২২টি ছাউনিযুক্ত বসার স্থান ও আরসিসি জেটি নির্মাণ, সেমি-পাকা অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, পর্যটকদের বন অভ্যন্তরে কাঠের ডেকিংযুক্ত ফুটটেইল শেল্টার প্যানেল, মোটরযান ক্রয়, লঞ্চ নির্মাণ, স্টিল বডি ট্রলার নির্মাণ, অডিও, ভিডিও ক্যামেরা, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ট্রাকুলাইজিং (বন্যপ্রাণী অবচেতন করা বন্দুক) গান ক্রয়, চারটি পর্যটন কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, পর্যটন কেন্দ্রের ভূমি উন্নয়ন, দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট সুন্দরবন তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ, সেমি-পাকা টিকিট ঘর, সেন্ট্রি বক্স, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সুন্দরবনের ডিসপ্লে ম্যাপ ও পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।
বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানি সরকারের অর্থ সহয়তায় এসব উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও বন বিভাগের সমন্বয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সিএমসি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বনের চারপাশের বসতি এলাকায় এসব কমিটি কাজ করছে। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের ডিএফও জহির উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সিডর ও আইলায় সুন্দরবনের যে ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠে নতুন রূপ নিয়েছে সুন্দরবন। এটা সম্ভব হয়েছে বনকে ডিস্টার্বের হাত থেকে রক্ষার মাধ্যমে। এখানে ব্যাপক ট্যুরিজম করা যাবে না।
এ কারণে নির্দিষ্ট কিছু স্পট পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। ব্যাপকভাবে ট্যুরিজম করলে বনের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, বিদেশি অর্থ সহায়তায় সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বনরক্ষীদের আরও কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে।
আধুনিক নৌযানও সংযোজন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের পূর্বের চেহারা এখন নেই। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে দুটি নৌরুট চালু করা হয়েছে। জাহাজগুলোর ধোয়া-মোছার তেল নদীতে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি শব্দ দূষণও হচ্ছে। এর ফলে হুমকির মধ্যে পড়েছে সুন্দরবনের বন্য পরিবেশ। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের ডিএফও জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে ৭০ কিলোমিটার পথ (কৈখালি, নোয়াবেকি ও আংটিহারা হয়ে) ভারত থেকে পণ্য বিশেষ করে ক্লিংকার পরিবহন করা হচ্ছে মংলা বন্দরে।
সুপতি, শ্যালা ও কৈখালি হয়ে ৯০ কিলোমিটার সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। বিশেষ করে শব্দদূষণ বাড়ছে। ঢেউয়ের কারণে নদীর পাড় ভেঙে বন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অধিকমাত্রায় শব্দ হলে বন্যপ্রাণী স্থানান্তর হয়ে যায়। এটা বনের জন্য হুমকি।
সুপতি, শ্যালা ও কৈখালি হয়ে ৯০ কিলোমিটার সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। বিশেষ করে শব্দদূষণ বাড়ছে। ঢেউয়ের কারণে নদীর পাড় ভেঙে বন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অধিকমাত্রায় শব্দ হলে বন্যপ্রাণী স্থানান্তর হয়ে যায়। এটা বনের জন্য হুমকি।
পাহাড়ি অরণ্যের জনপদ রাঙামাটি
সত্তর দশকের শেষদিকে রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। এর আয়তন ছয় হাজার ৪৮১ বর্গকিলোমিটার। এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম লেক, দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূকেন্দ্র ও কর্ণফুলী পেপার মিল এই জেলায় অবস্থিত। এখানে ১১টি ভাষাভাষীর ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে। পাহাড়ের বুকচিরে প্রবাহমান স্বচ্ছ জলধারা সবুজ প্রাণের ছোঁয়া এ জেলাকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ।
রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাদুঘরে রয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রাচীন নিদর্শন। রাঙামাটি জাদুঘর, জেলা প্রশাসন বাংলো, রাজবন বনবিহার চাকমা রাজার কার্যালয়, বৌদ্ধদের তীর্থস্থান রাজবন বিহার। বৌদ্ধ ধর্মের বেশকিছু নিদর্শন রয়েছে এখানে। ইচ্ছা করলে অটোরিকশা ভাড়া করে ঘুরে আসা যায়।
কারণ এগুলো শহরের মধ্যেই অবস্থিত। তা ছাড়া নৌপথে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশির বুকচিরে যখন সুভলংয়ের দিকে এগোবেন তখন একটি সবুজ দ্বীপ চোখে পড়বে বেসরকারি পর্যটন স্পট পেদা টিং টিং রেস্টুরেন্টে। পেদা টিং টিং (পেট ভরে খাওয়া) শব্দটির চাকমা ভাষায় নামকরণ করা হয়েছে। এখানে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। নদীপথে সবুজ পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে দেখা যায় অসংখ্য পাহাড়ি গ্রাম। তা ছাড়া দৃষ্টি দূর পাহাড়ের চূড়ায় জুমচাষ।
মন ভোলানো এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে সুভলং পেঁৗছে গেছেন টেরই পাবেন না। রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি সড়ক থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাপ্তাই উপজেলা। সেখানে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর দুইপাশের মন পাগল করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এ ছাড়া রয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কর্ণফুলী কাগজকল।
একটু নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে চাইলে উঠতে পারেন রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে। এখানে ডাবল রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমের জন্য ভাড়া গুনতে হবে ৮০০ টাকা। আবার এসি ডাবল রুমের ভাড়া পড়বে ১২০০ টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি হোটেলে রাতযাপন করা হয়।
এ জন্য ভাড়া নিতে পারেন পৌরসভার কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত হোটেল সুফিয়া, রিজার্ভ বাজারের গ্রিন ক্যাসেল, কলেজ গেটের মোটেল জজ ও চম্পক নগরের গেস্ট হাউস বনরূপা ট্যুরিস্ট ইন। তবে নতুন দম্পতিদের জন্য ২০০৮ সালে রাঙামাটি পর্যটন কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পাহাড়ের আদিবাসীদের ঘরের সঙ্গে মিল রেখে দুটি ট্রাভেল হানিমুন কটেজও তৈরি করে।
রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাদুঘরে রয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রাচীন নিদর্শন। রাঙামাটি জাদুঘর, জেলা প্রশাসন বাংলো, রাজবন বনবিহার চাকমা রাজার কার্যালয়, বৌদ্ধদের তীর্থস্থান রাজবন বিহার। বৌদ্ধ ধর্মের বেশকিছু নিদর্শন রয়েছে এখানে। ইচ্ছা করলে অটোরিকশা ভাড়া করে ঘুরে আসা যায়।
কারণ এগুলো শহরের মধ্যেই অবস্থিত। তা ছাড়া নৌপথে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশির বুকচিরে যখন সুভলংয়ের দিকে এগোবেন তখন একটি সবুজ দ্বীপ চোখে পড়বে বেসরকারি পর্যটন স্পট পেদা টিং টিং রেস্টুরেন্টে। পেদা টিং টিং (পেট ভরে খাওয়া) শব্দটির চাকমা ভাষায় নামকরণ করা হয়েছে। এখানে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। নদীপথে সবুজ পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে দেখা যায় অসংখ্য পাহাড়ি গ্রাম। তা ছাড়া দৃষ্টি দূর পাহাড়ের চূড়ায় জুমচাষ।
মন ভোলানো এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে সুভলং পেঁৗছে গেছেন টেরই পাবেন না। রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি সড়ক থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাপ্তাই উপজেলা। সেখানে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর দুইপাশের মন পাগল করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এ ছাড়া রয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কর্ণফুলী কাগজকল।
একটু নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে চাইলে উঠতে পারেন রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে। এখানে ডাবল রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমের জন্য ভাড়া গুনতে হবে ৮০০ টাকা। আবার এসি ডাবল রুমের ভাড়া পড়বে ১২০০ টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি হোটেলে রাতযাপন করা হয়।
এ জন্য ভাড়া নিতে পারেন পৌরসভার কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত হোটেল সুফিয়া, রিজার্ভ বাজারের গ্রিন ক্যাসেল, কলেজ গেটের মোটেল জজ ও চম্পক নগরের গেস্ট হাউস বনরূপা ট্যুরিস্ট ইন। তবে নতুন দম্পতিদের জন্য ২০০৮ সালে রাঙামাটি পর্যটন কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পাহাড়ের আদিবাসীদের ঘরের সঙ্গে মিল রেখে দুটি ট্রাভেল হানিমুন কটেজও তৈরি করে।
কুয়াকাটা
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখা যায় দেশের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে দেশের সর্বদক্ষিণে পটুয়াখালী জেলায় এর অবস্থান। আশির দশক থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সম্ভাবনাময় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর এ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার কদর রয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার এটাই দেশের একমাত্র দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত হওয়ায় শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষাসহ সব ঋতুতেই পর্যটকদের কোলাহলে দিন-রাত মুখর থাকে এ সৈকত। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য পর্যটকদের রয়েছে বহুতল ভবনের অভিজাত হোটেল-মোটেল, সরকারি ডাকবাংলোসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার হোটেল।
কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান নারিকেল বিথী, ফয়েজ মিয়ার বাগান, জাতীয় উদ্যান [ইকোপার্ক], শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার, মিস্ত্রিপাড়ার সীমা বৌদ্ধবিহার, কাউয়ারচর, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লীসহ সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৩ কিমি পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুঙ্কর সমুদ্রের দীর্ঘ বেলাভূমি, একাধিক লেক সংরক্ষিত বনায়ন যেন পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে হাতছানি দিয়ে।
পর্যটকদের সব রকমের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে বেশকিছু ট্যুরিস্ট সেন্টার। রয়েছে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে ফার্ম অ্যান্ড ফার্মসের বিশাল নারিকেল বাগান। এ ছাড়া সৈকতের বিপণি বিতান ও বিভিন্ন পণ্যের দোকানগুলো সৈকতের বুকে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে। এসব কারণেই অপরূপ ও আকর্ষণীয় এ সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বন ও কুয়াকাটার পূর্বদিকে রয়েছে ট্যুরিস্ট জোন গঙ্গামতি সৈকত। কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা ফাতরার বনে গিয়ে তাদের মনের খোরাক পোষাতে পারেন। প্রকৃতির গোছানো বনে বিভিন্ন ধরনের গাছ ও ছোট-বড় লেক রয়েছে শতাধিক। তাই কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা বোনাস হিসেবে পাবেন ফাতরার বন।
বিভিন্ন গাছের আলিঙ্গনে রয়েছে প্রকৃতির সুবজ বেষ্টনী। এসব এলাকায় রয়েছে সব ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্রলার বা লঞ্চযোগে ফাতরার বন ভ্রমণ করা যায়। ফাতরার বনে রয়েছে শালবন, গর্জন, গজারি, গেওয়া, সুন্দরী, গড়াইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এখানে রয়েছেশতাধিক লেক এবং লেকের দুইধারে বিভিন্ন গাছের মগ ডালে উড়ে বসতে দেখা যায় মনোমুঙ্কর পাখ-পাখালি। কিঁচিরমিচির ডাকে আকাশ যেন ভারি হয়ে উঠে।
ফাতরার বনে গিয়ে দাঁড়ালেই মনে হয় সুন্দরবনে পেঁৗছে গেছি। ১৯৯৮ সালে কুয়াকাটাকে পর্যটক কেন্দ্র ঘোষণার পর ২০১০ সালে কুয়াকাটাকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা একটি আন্তর্জাতিক পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে দেশে ও বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এই পর্যটনকে ঘিরে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়।
পর্যটকদের সব রকমের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে বেশকিছু ট্যুরিস্ট সেন্টার। রয়েছে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে ফার্ম অ্যান্ড ফার্মসের বিশাল নারিকেল বাগান। এ ছাড়া সৈকতের বিপণি বিতান ও বিভিন্ন পণ্যের দোকানগুলো সৈকতের বুকে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে। এসব কারণেই অপরূপ ও আকর্ষণীয় এ সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বন ও কুয়াকাটার পূর্বদিকে রয়েছে ট্যুরিস্ট জোন গঙ্গামতি সৈকত। কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা ফাতরার বনে গিয়ে তাদের মনের খোরাক পোষাতে পারেন। প্রকৃতির গোছানো বনে বিভিন্ন ধরনের গাছ ও ছোট-বড় লেক রয়েছে শতাধিক। তাই কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা বোনাস হিসেবে পাবেন ফাতরার বন।
বিভিন্ন গাছের আলিঙ্গনে রয়েছে প্রকৃতির সুবজ বেষ্টনী। এসব এলাকায় রয়েছে সব ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্রলার বা লঞ্চযোগে ফাতরার বন ভ্রমণ করা যায়। ফাতরার বনে রয়েছে শালবন, গর্জন, গজারি, গেওয়া, সুন্দরী, গড়াইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এখানে রয়েছেশতাধিক লেক এবং লেকের দুইধারে বিভিন্ন গাছের মগ ডালে উড়ে বসতে দেখা যায় মনোমুঙ্কর পাখ-পাখালি। কিঁচিরমিচির ডাকে আকাশ যেন ভারি হয়ে উঠে।
ফাতরার বনে গিয়ে দাঁড়ালেই মনে হয় সুন্দরবনে পেঁৗছে গেছি। ১৯৯৮ সালে কুয়াকাটাকে পর্যটক কেন্দ্র ঘোষণার পর ২০১০ সালে কুয়াকাটাকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা একটি আন্তর্জাতিক পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে দেশে ও বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এই পর্যটনকে ঘিরে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা দীর্ঘ সড়ক পথ পরিবহনে পাড়ি দিয়ে এসে কুয়াকাটা সৈকতে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন, একই জায়গায় দাঁড়িয়েই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখে ভুলে যান তাদের কষ্টের কথা।
চির সবুজ শ্রীমঙ্গল
পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সোন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গল। পাহাড়, অরণ্য, হাওর আর সবুজ চা বাগানঘেরা এ শ্রীমঙ্গল। আছে আদিবাসী বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। চা-শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম বিশ্বব্যাপী।
পাহাড়বেষ্টিত এ উপজেলার চতুর্দিকে চির সবুজের সমারোহ। দুটি পাতা একটি কুঁড়ি দেশ হিসেবেও শ্রীমঙ্গলের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সঙ্গে সারা দেশের রেল ও সড়কপথে রয়েছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ উপজেলায় রয়েছে ৪৪টি চা বাগান।
সবুজের নিসর্গভরা এসব চা বাগানের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতিনিয়তই পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। আর শ্রীমঙ্গল শহর মূলত চা-শিল্পকেন্দ্রিক বিধায় একে চায়ের রাজধানীও বলা হয়। এসব চা বাগানে কর্মরত আছে প্রায় ২৫ হাজার চা শ্রমিক। প্রকৃতি ও বাগানে কাজ করা চা শ্রমিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চা বাগানের নান্দনিক সৌন্দর্যে যে কোনো মানুষেরই মন কেড়ে নেবে। উঁচু-নিচু পাহাড়ে সারি সারি ঘন সবুজের চা বাগান। দেখলে মনে হবে কেউ যেন সবুজ চাদর বিছিয়ে রেখেছে।
বাগানের চা গাছগুলোকে রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচাতে চা বাগানে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি। এ গাছগুলো ছায়াবৃক্ষ নামে পরিচিত। প্রতিটি চা বাগানের চা শ্রমিকদের বিশেষভাবে পিঠে কাপড় বেঁধে একটি কুঁড়ি দুটি পাতা তুলে আনা, চা-এর কুঁড়ি সংগ্রহ করে বিকালে মাথায় করে শ্রমিকদের লাইন ধরে ঘরেফেরা_ নান্দনিক এসব দৃশ্য দেখলে শুধু চোখ নয়, মনও ভরে যায়।
এ ছাড়া নানান জাতের পাখির কলরব, বাগানের ভেতর দিয়ে বয়েচলা পাহাড়ি ঝরনার ছলছল শব্দ। আবার অনেক বাগানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন লেক। পাহাড়ের চূড়া থেকে লেকের নীল জলরাশি দেখতে গেলে চোখ ফেরানো দায়। চা-শিল্পের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে চা-শিল্পকে পরিচয় করিয়ে দিতে চা বাগানে ব্যবহৃত প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে টি-রিসোর্টের ভেতর ২০০৯ সালে একটি টি- মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হরেছে।
শ্রীমঙ্গল শহরের প্রবেশমুখ মুছাই বাজারের পাশে আলীয়াছড়া পান পুঞ্জির সামনে ২০০৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে চাকন্যা ভাস্কর্য। চা বাগানে এসব নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও এখানে আছে দিগন্তজোড়া হাইল হাওড়, যার নীল ঢেউয়ের ছন্দে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। হাওড়ের অফুরন্ত মূল্যবান জলজসম্পদ ও শীতের সময় আসা অতিথি পাখিরা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বার বার।
এ ছাড়াও রয়েছে_ বন্যপ্রাণী সেবা আশ্রম, ডিনস্টন সিমেট্রি, মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ, খাসিয়াপুঞ্জি, নির্মাই শিববাড়ি, বধ্যভূমি ৭১'র মনুমেন্ট, লেবু, আনারস ও রাবার বাগান। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এখনো আলাদা করে পর্যটন পুলিশব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তবে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখানোর জন্য রয়েছে বেশ ক'জন ইকো-ট্যুর গাইড।
পাহাড়বেষ্টিত এ উপজেলার চতুর্দিকে চির সবুজের সমারোহ। দুটি পাতা একটি কুঁড়ি দেশ হিসেবেও শ্রীমঙ্গলের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সঙ্গে সারা দেশের রেল ও সড়কপথে রয়েছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ উপজেলায় রয়েছে ৪৪টি চা বাগান।
সবুজের নিসর্গভরা এসব চা বাগানের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতিনিয়তই পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। আর শ্রীমঙ্গল শহর মূলত চা-শিল্পকেন্দ্রিক বিধায় একে চায়ের রাজধানীও বলা হয়। এসব চা বাগানে কর্মরত আছে প্রায় ২৫ হাজার চা শ্রমিক। প্রকৃতি ও বাগানে কাজ করা চা শ্রমিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চা বাগানের নান্দনিক সৌন্দর্যে যে কোনো মানুষেরই মন কেড়ে নেবে। উঁচু-নিচু পাহাড়ে সারি সারি ঘন সবুজের চা বাগান। দেখলে মনে হবে কেউ যেন সবুজ চাদর বিছিয়ে রেখেছে।
বাগানের চা গাছগুলোকে রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচাতে চা বাগানে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি। এ গাছগুলো ছায়াবৃক্ষ নামে পরিচিত। প্রতিটি চা বাগানের চা শ্রমিকদের বিশেষভাবে পিঠে কাপড় বেঁধে একটি কুঁড়ি দুটি পাতা তুলে আনা, চা-এর কুঁড়ি সংগ্রহ করে বিকালে মাথায় করে শ্রমিকদের লাইন ধরে ঘরেফেরা_ নান্দনিক এসব দৃশ্য দেখলে শুধু চোখ নয়, মনও ভরে যায়।
এ ছাড়া নানান জাতের পাখির কলরব, বাগানের ভেতর দিয়ে বয়েচলা পাহাড়ি ঝরনার ছলছল শব্দ। আবার অনেক বাগানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন লেক। পাহাড়ের চূড়া থেকে লেকের নীল জলরাশি দেখতে গেলে চোখ ফেরানো দায়। চা-শিল্পের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে চা-শিল্পকে পরিচয় করিয়ে দিতে চা বাগানে ব্যবহৃত প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে টি-রিসোর্টের ভেতর ২০০৯ সালে একটি টি- মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হরেছে।
শ্রীমঙ্গল শহরের প্রবেশমুখ মুছাই বাজারের পাশে আলীয়াছড়া পান পুঞ্জির সামনে ২০০৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে চাকন্যা ভাস্কর্য। চা বাগানে এসব নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও এখানে আছে দিগন্তজোড়া হাইল হাওড়, যার নীল ঢেউয়ের ছন্দে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। হাওড়ের অফুরন্ত মূল্যবান জলজসম্পদ ও শীতের সময় আসা অতিথি পাখিরা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বার বার।
এ ছাড়াও রয়েছে_ বন্যপ্রাণী সেবা আশ্রম, ডিনস্টন সিমেট্রি, মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ, খাসিয়াপুঞ্জি, নির্মাই শিববাড়ি, বধ্যভূমি ৭১'র মনুমেন্ট, লেবু, আনারস ও রাবার বাগান। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এখনো আলাদা করে পর্যটন পুলিশব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তবে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখানোর জন্য রয়েছে বেশ ক'জন ইকো-ট্যুর গাইড।
ওপারে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়, এপারে নদী। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলছে ঝরনা, আর নদীর বুকে স্তরে স্তরে সাজানো নানা রঙের নুড়ি পাথর। দূর থেকে তাকালে মনে হবে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে নরম তুলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে রুপালি মেঘমালা। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য আর কোথায় পাবেন, জাফলং ছাড়া? এখানেই শেষ নয়। সমতল চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, পানের বরজ_ কী নেই এখানে?
তাই সিলেটের জাফলংকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রকৃতি কন্যা নামেও রয়েছে আলাদা পরিচিতি। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে ভারতের সীমান্তঘেঁষা দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের এই জনপদকে। জাফলংয়ের সৌন্দর্য দেখতে তাই প্রতিবছরই প্রচুরসংখ্যক পর্যটক ভিড় করেন। ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে জাফলংও তার রূপ বদলায়। সৌন্দর্যে আসে বৈচিত্র্যতা। জাফলংয়ের বুক চিরে বয়ে গেছে দুটি নদী। ধলাই ও পিয়াইন। এই নদী দুটি অনন্য উচ্চতা এনে দিয়েছে জাফলংকে।
ধলাই ও পিয়াইনের স্বচ্ছ জলে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় নানা জাতের ছোট মাছ। দুই নদীর পানির নিচ থেকে ডুব দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকের পাথর উত্তোলনের দৃশ্যও মুগ্ধ করে পর্যটকদের। নদীর পানিতে নারী-পুরুষের এই 'ডুবোখেলা' দেখা যায় ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি। সীমান্তের ওপারে ডাউকি নদীর উপরে দুই পাহাড়ের মধ্যখানে ঝুলন্ত সেতু বাড়িয়ে তুলেছে জাফলংয়ের সৌন্দর্য।
পাহাড়, পানি, পান, পাথর, ঝরনা সবমিলিয়ে জাফলং যেন এক রূপকথার রাজ্য। নাগরিক জঞ্জাল আর কোলাহল ছেড়ে দুই দণ্ড শান্তি খুঁজে নিতে তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, এমনকি দেশের বাইরে থেকেও দলবেঁধে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন পর্যটকরা। ভাড়া নৌকায় পিয়াইন ও ধলাইর বুকে ভেসে বেড়ান তারা। নদী পার হলেই খাসিয়াপুঞ্জি। এ পুঞ্জিগুলোতে গেলে দেখা যাবে তিন-চার ফুট উঁচুতে বিশেষভাবে তৈরি খাসিয়াদের ঘর। প্রতিটি বাড়িতে সৃজিত পানের বরজ।
মাতৃতান্ত্রিক খাসিয়া সম্প্রদায়ের পুরুষরা গাছ বেয়ে বরজ থেকে পান পাতা সংগ্রহ করেন। আর বাড়ির উঠানে বসে নারীরা পান ভাঁজ করে খাঁচা ভর্তি করে বিক্রির জন্য। সংগ্রামপুঞ্জির রাস্তা ধরে আরেকটু এগুলো দেখা যাবে দেশের প্রথম সমতল চা বাগান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জন বনভূমি।
১৯৫৪ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে। ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌপথে জাফলং আসতে শুরু করেন। পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকায় গড়ে উঠে নতুন জনবসতিও। আশির দশকে সিলেটের সঙ্গে জাফলংয়ের ৫৫ কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকের পাশাপাশি প্রকৃতিপ্রেমীরাও ভিড় করতে থাকেন জাফলংয়ে। একসময় দেশের সেরা পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয় জাফলং। জাফলয়ের আরেকটি বড় সমস্যা_ এখানে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা নেই। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠেনি কোনো ভালো মানের হোটেল-মোটেল। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলে জাফলংয়ের সৌন্দর্য আরও বাড়বে।
সেই সঙ্গে বাড়বে পর্যটন আকর্ষণ। জাফলংকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণস্থল হিসেবে নিশ্চিত করতে এখানে পর্যটন পুলিশের কার্যক্রম চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। পর্যটকরাও নির্বিঘ্নে জাফলংয়ের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পাবেন।
তাই সিলেটের জাফলংকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রকৃতি কন্যা নামেও রয়েছে আলাদা পরিচিতি। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে ভারতের সীমান্তঘেঁষা দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের এই জনপদকে। জাফলংয়ের সৌন্দর্য দেখতে তাই প্রতিবছরই প্রচুরসংখ্যক পর্যটক ভিড় করেন। ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে জাফলংও তার রূপ বদলায়। সৌন্দর্যে আসে বৈচিত্র্যতা। জাফলংয়ের বুক চিরে বয়ে গেছে দুটি নদী। ধলাই ও পিয়াইন। এই নদী দুটি অনন্য উচ্চতা এনে দিয়েছে জাফলংকে।
ধলাই ও পিয়াইনের স্বচ্ছ জলে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় নানা জাতের ছোট মাছ। দুই নদীর পানির নিচ থেকে ডুব দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকের পাথর উত্তোলনের দৃশ্যও মুগ্ধ করে পর্যটকদের। নদীর পানিতে নারী-পুরুষের এই 'ডুবোখেলা' দেখা যায় ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি। সীমান্তের ওপারে ডাউকি নদীর উপরে দুই পাহাড়ের মধ্যখানে ঝুলন্ত সেতু বাড়িয়ে তুলেছে জাফলংয়ের সৌন্দর্য।
পাহাড়, পানি, পান, পাথর, ঝরনা সবমিলিয়ে জাফলং যেন এক রূপকথার রাজ্য। নাগরিক জঞ্জাল আর কোলাহল ছেড়ে দুই দণ্ড শান্তি খুঁজে নিতে তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, এমনকি দেশের বাইরে থেকেও দলবেঁধে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন পর্যটকরা। ভাড়া নৌকায় পিয়াইন ও ধলাইর বুকে ভেসে বেড়ান তারা। নদী পার হলেই খাসিয়াপুঞ্জি। এ পুঞ্জিগুলোতে গেলে দেখা যাবে তিন-চার ফুট উঁচুতে বিশেষভাবে তৈরি খাসিয়াদের ঘর। প্রতিটি বাড়িতে সৃজিত পানের বরজ।
মাতৃতান্ত্রিক খাসিয়া সম্প্রদায়ের পুরুষরা গাছ বেয়ে বরজ থেকে পান পাতা সংগ্রহ করেন। আর বাড়ির উঠানে বসে নারীরা পান ভাঁজ করে খাঁচা ভর্তি করে বিক্রির জন্য। সংগ্রামপুঞ্জির রাস্তা ধরে আরেকটু এগুলো দেখা যাবে দেশের প্রথম সমতল চা বাগান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জন বনভূমি।
১৯৫৪ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে। ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌপথে জাফলং আসতে শুরু করেন। পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকায় গড়ে উঠে নতুন জনবসতিও। আশির দশকে সিলেটের সঙ্গে জাফলংয়ের ৫৫ কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকের পাশাপাশি প্রকৃতিপ্রেমীরাও ভিড় করতে থাকেন জাফলংয়ে। একসময় দেশের সেরা পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয় জাফলং। জাফলয়ের আরেকটি বড় সমস্যা_ এখানে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা নেই। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠেনি কোনো ভালো মানের হোটেল-মোটেল। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলে জাফলংয়ের সৌন্দর্য আরও বাড়বে।
সেই সঙ্গে বাড়বে পর্যটন আকর্ষণ। জাফলংকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণস্থল হিসেবে নিশ্চিত করতে এখানে পর্যটন পুলিশের কার্যক্রম চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। পর্যটকরাও নির্বিঘ্নে জাফলংয়ের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পাবেন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, প্রবাল দ্বীপ, পাথুরে বিচ ছাড়াও অসংখ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কক্সবাজারের ঐতিহ্যকে যেমন গৌরবান্বিত করেছে, তেমনি পর্যটনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে করেছে সমৃদ্ধ। কক্সবাজার এসেই দীর্ঘ ১২০ কিলোমিটার সৈকত দর্শনের পর চোখের সামনেই সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অবাক করার মতো।
এরপর পাহাড় আর সমুদ্রের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা 'মেরিন ড্রাইভ' সড়ক দিয়ে 'গুহা' সমৃদ্ধ পর্যটন স্পট দরিয়া নগর, পরিচ্ছন্ন পানি ঝরনা সমৃদ্ধ হিমছড়ি, হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা পাথুরে বিচ ইনানি, ঐতিহ্যবাহী উখিয়ার কানা রাজার গুহা, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, প্রেমের স্মৃতিস্তম্ভ টেকনাফের মাথিনের কূপ, নীল সমুদ্রের নদী রেজু খাল, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, বালির পাহাড়সমৃদ্ধ দ্বীপ সোনাদিয়া, কুতুবদিয়ার বাতিঘর ও দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকের মন আকৃষ্ট করে।
সার্ফিং ক্লাব বাংলাদেশের পরিচালক সার্ফার জাফর মনে করেন, কক্সবাজার কেবল পর্যটন শিল্পকেই এগিয়ে নিয়ে যায়নি বরং এগিয়ে নিয়েছে লাল-সবুজের এই দেশকেও। কেননা বহির্বিশ্বে এখন বাংলাদেশ বলতে আগে 'কক্সবাজার' উল্লেখ করতে হয়। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টুয়াক বাংলাদেশ) সভাপতি এস এম কিবরিয়া খান জানান, পর্যটনশিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে 'ইকো-ট্যুরিজম'-এর ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া দরকার। যেভাবে দালান-কোঠা উঠছে, এতে পুরো কক্সবাজারই ইট-পাথরের নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
এরপর পাহাড় আর সমুদ্রের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা 'মেরিন ড্রাইভ' সড়ক দিয়ে 'গুহা' সমৃদ্ধ পর্যটন স্পট দরিয়া নগর, পরিচ্ছন্ন পানি ঝরনা সমৃদ্ধ হিমছড়ি, হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা পাথুরে বিচ ইনানি, ঐতিহ্যবাহী উখিয়ার কানা রাজার গুহা, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, প্রেমের স্মৃতিস্তম্ভ টেকনাফের মাথিনের কূপ, নীল সমুদ্রের নদী রেজু খাল, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, বালির পাহাড়সমৃদ্ধ দ্বীপ সোনাদিয়া, কুতুবদিয়ার বাতিঘর ও দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকের মন আকৃষ্ট করে।
সার্ফিং ক্লাব বাংলাদেশের পরিচালক সার্ফার জাফর মনে করেন, কক্সবাজার কেবল পর্যটন শিল্পকেই এগিয়ে নিয়ে যায়নি বরং এগিয়ে নিয়েছে লাল-সবুজের এই দেশকেও। কেননা বহির্বিশ্বে এখন বাংলাদেশ বলতে আগে 'কক্সবাজার' উল্লেখ করতে হয়। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টুয়াক বাংলাদেশ) সভাপতি এস এম কিবরিয়া খান জানান, পর্যটনশিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে 'ইকো-ট্যুরিজম'-এর ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া দরকার। যেভাবে দালান-কোঠা উঠছে, এতে পুরো কক্সবাজারই ইট-পাথরের নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দেশি ও বিদেশি পর্যটকরা তো দালান-কোঠা দেখার জন্য কক্সবাজারে আসে না। তারা মনোরম পরিবেশে উন্মুক্তভাবে সময় কাটাতে চান। এ জন্য ইকো ট্যুরিজম অত্যন্ত দরকার। যোগ করেন তিনি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গার কোনো সংকট নেই। কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও কটেজের সংখ্যা প্রায় চারশ'র মতো। কেবল প্রয়োজন বিনোদনের। হিমছড়ির পাহাড়, দরিয়া নগরের পাহাড় দিয়ে 'ক্যাবল কার' চালু করতে পারলে পর্যটনশিল্প আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে আসেন। সাংসারিক কাজে কিংবা নিজের প্রয়োজনে নিত্য ব্যবহার্য বস্তু কিছুদিন ব্যবহারের পর অনেকে বাসায় ফেলে রাখেন। অথচ এসব বস্তু আরও বহুদিন ব্যবহারের উপযোগী। এই পড়ে থাকা জিনিসগুলো যেখানে বিক্রি হয়_ সেটিই 'রিসাইকেল মার্কেটিং'। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশেই এ রিসাইকেল মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু আছে। দীর্ঘতম সৈকতের নগরীতে সন্ধ্যা হলেই তেমন আর কিছু দেখার মতো থাকে না। ফলে পর্যটকরা হোটেলের কক্ষে বসেই সময় কাটান।
বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ পর্যটকরা এ সময়টুকু বাড়তি আনন্দ পান পার্কে বসে। বিশ্বের যেসব দেশে পর্যটনের ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভ করেছে তাতে শিশুপার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্পোর্টস ট্যুরিজম বলতে বিশ্বের সব ধরনের জনপ্রিয় খেলার আয়োজন করা। উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নানা ধরনের দেশি-বিদেশি খেলার আয়োজন থাকে পর্যটকদের জন্য। তবে কক্সবাজারে আপাতত যেগুলো করা সম্ভব অন্তত সে ইভেন্টগুলো চালু করলে ট্যুরিস্টদের জন্য নতুন বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণেরও দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বের যে কোনো দেশ গর্ব করে তাদের তৈরি পণ্য, ঐশ্বর্য কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে। অথচ কক্সবাজারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তা এখনো পর্যটকরা জানেন না। ফলে কেবল সমুদ্রই তাদের বিনোদন ভেবে বেশি দিন অবস্থান না করেই বাড়ি ফিরে যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্সবাজারের ধন-সম্পদ সম্পর্কে পর্যটকদের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি করা গেলে দেশের পর্যটনশিল্প আরও সমৃদ্ধি লাভ করবে।
পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে আসেন। সাংসারিক কাজে কিংবা নিজের প্রয়োজনে নিত্য ব্যবহার্য বস্তু কিছুদিন ব্যবহারের পর অনেকে বাসায় ফেলে রাখেন। অথচ এসব বস্তু আরও বহুদিন ব্যবহারের উপযোগী। এই পড়ে থাকা জিনিসগুলো যেখানে বিক্রি হয়_ সেটিই 'রিসাইকেল মার্কেটিং'। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশেই এ রিসাইকেল মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু আছে। দীর্ঘতম সৈকতের নগরীতে সন্ধ্যা হলেই তেমন আর কিছু দেখার মতো থাকে না। ফলে পর্যটকরা হোটেলের কক্ষে বসেই সময় কাটান।
বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ পর্যটকরা এ সময়টুকু বাড়তি আনন্দ পান পার্কে বসে। বিশ্বের যেসব দেশে পর্যটনের ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভ করেছে তাতে শিশুপার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্পোর্টস ট্যুরিজম বলতে বিশ্বের সব ধরনের জনপ্রিয় খেলার আয়োজন করা। উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নানা ধরনের দেশি-বিদেশি খেলার আয়োজন থাকে পর্যটকদের জন্য। তবে কক্সবাজারে আপাতত যেগুলো করা সম্ভব অন্তত সে ইভেন্টগুলো চালু করলে ট্যুরিস্টদের জন্য নতুন বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণেরও দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বের যে কোনো দেশ গর্ব করে তাদের তৈরি পণ্য, ঐশ্বর্য কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে। অথচ কক্সবাজারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তা এখনো পর্যটকরা জানেন না। ফলে কেবল সমুদ্রই তাদের বিনোদন ভেবে বেশি দিন অবস্থান না করেই বাড়ি ফিরে যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্সবাজারের ধন-সম্পদ সম্পর্কে পর্যটকদের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি করা গেলে দেশের পর্যটনশিল্প আরও সমৃদ্ধি লাভ করবে।
জেলার রাখাইদের তাঁতবস্ত্রের বড় একটা চাহিদা রয়েছে পর্যটকদের কাছে। পর্যটকসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ এসব সম্প্রদায়ের হাতে তৈরি তাঁতবস্ত্র ব্যবহারে এখনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পকে সাজাতে ও ব্যাপক সমৃদ্ধ করার জন্য রাখাইনদের তাঁত শিল্পকে আরও গতিশীল করা দরকার। এটিকে পর্যটকদের সামনে ফুটিয়ে তুলতে পারলে জেলার পর্যটনশিল্প বহু ধাপ এগিয়ে যাবে। উন্নত বিশ্বের যেসব দেশে পর্যটনের উন্নয়ন কিংবা বিকাশ সাধিত হয়েছে সেসব দেশের প্রায় স্থানে পর্যটক হাঁটার জন্য 'ফাঁকা রাস্তা' রয়েছে।
সকাল-বিকাল যে কোনো সময় পর্যটকরা ভ্রমণে এসে নির্বিঘ্নে হেঁটে সময় কাটাতে চান। যার জন্য ফাঁকা কোনো জায়গা বা রাস্তা না থাকলে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন পর্যটকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পকে সাজাতে ও ব্যাপক সমৃদ্ধ করার জন্য রাখাইনদের তাঁত শিল্পকে আরও গতিশীল করা দরকার। এটিকে পর্যটকদের সামনে ফুটিয়ে তুলতে পারলে জেলার পর্যটনশিল্প বহু ধাপ এগিয়ে যাবে। উন্নত বিশ্বের যেসব দেশে পর্যটনের উন্নয়ন কিংবা বিকাশ সাধিত হয়েছে সেসব দেশের প্রায় স্থানে পর্যটক হাঁটার জন্য 'ফাঁকা রাস্তা' রয়েছে।
সকাল-বিকাল যে কোনো সময় পর্যটকরা ভ্রমণে এসে নির্বিঘ্নে হেঁটে সময় কাটাতে চান। যার জন্য ফাঁকা কোনো জায়গা বা রাস্তা না থাকলে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন পর্যটকরা।
শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়া, মধ্যম নুনিয়ারছড়া ও ১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এসব ড্রাই ফিশ। এ খাত থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত হয়। সরকার এখান থেকে বিরাট অঙ্কের রাজস্ব পায়।
এক সময় বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মানেই ছিল মাধবকুণ্ড। এখন দেশের ভেতরে আরও অনেক জলপ্রপাতের সন্ধান মিলেছে। তবে এখনো জলপ্রপাত অনুরাগী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ মাধবকুণ্ডই। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমান এই ঝরনাধারার সৌন্দর্য উপভোগে। মাধবকুণ্ড থেকে ২০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে আরও একটি ঝরনা। এর নাম পরীকুণ্ড। মাধবকুণ্ড যাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল, এ সময় ঝরনা পানিতে পূর্ণ থাকে। শীতকালেও এর সৌন্দর্যের কমতি হয় না।
প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত এই স্থানটিতে বর্তমানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রেস্টহাউস ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বেড়েছে পর্যটন সম্ভাবনা।
এ ছাড়া সরকারি উদ্যোগে পুরো এলাকাটিকে ঘিরে তৈরি করা হচ্ছে 'মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক'। শ্যামল সবুজ বনরাজি বেষ্টিত মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক, নয়নাভিরাম দৃশ্য, নান্দনিক পিকনিক স্পট, সুবিশাল পর্বতগিরি, পাহাড়ি ঝরনার প্রবাহিত জলরাশির কল কল শব্দ- সব মিলিয়ে মাধবকুণ্ড বেড়াতে গেলে পাওয়া যাবে এক স্বর্গীয় আমেজ। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের পাশেই রয়েছে কমলা বাগান।
রয়েছে লেবু, সুপারি ও পানের বাগান। ফলে মাধবকুণ্ড বেড়াতে গেলে সহজেই ঘুরে আসা যায় এসব বাগানে। এ ছাড়া মাধবকুণ্ড এলাকায় বাস করে আদিবাসী খাসিয়ারা। খাসিয়ারা গাছে গাছে পান চাষ করে।
মাধবছড়াকে ঘিরেই খাসিয়াদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়। ফলে আদিবাসী জীবনযাত্রা আর সংস্কৃতিও উপভোগ করা যাবে এখানে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে এলে চোখে পড়বে উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলায় দিগন্তজোড়া চা বাগান। টিলার ভাঁজে ভাঁজে খাসিয়াদের পানপুঞ্জি ও জুম চাষ। পাহাড়িদের সনাতনী বাড়িঘর জীবনযাত্রা দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব। যা পর্যটকদের কেবল আনন্দই দেয় না, গবেষক ও কবি-সাহিত্যিকরা খুঁজে পান লেখার রসদ। মাধবকুণ্ড অতীত থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।
প্রতি বছরের চৈত্র মাসে ভগবান মাধবেশ্বরের আশীর্বাদ নিতে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। বিশালাকার শিবলিঙ্গে পূজা হয়। কথিত আছে, শ্রীহট্টের রাজা গঙ্গাধ্বজ পাথারিয়া পাহাড়ে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ শুরু করলে সেখানে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মাটির নিচে একজন সন্ন্যাসীকে দেখতে পান।
সন্ন্যাসী বিসর্জিত হওয়ামাত্র তিনবার মাধব, মাধব, মাধব নামে দৈববাণী হয়। সম্ভবত এ থেকে 'মাধবকুণ্ড' নামের উৎপত্তি। আবার কারও কারও মতে, মহাদেব বা শিবের পূর্বনাম মাধব এবং এর নামানুসারেই তার আবির্ভাব স্থানের নাম 'মাধবকুণ্ড'।
মাধবকুণ্ড সিলেট সদর থেকে ৭২ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে ৩২ কিলোমিটার এবং কাঁঠালতলী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। দেশের যে কোনো জায়গা থেকে সড়ক পথে সরাসরি বাস নিয়ে আসা যায় মাধবকুণ্ডে।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের দেশজোড়া পরিচিতি আর পর্যটন আকর্ষণ থাকলেও এখানে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে কর্তৃপক্ষ একেবাড়েই উদাসীন। জলপ্রপ্রাতের ৫০০ একর এলাকাজুড়ে ২০০১ সালে ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এক যুগেও পূর্ণতা পায়নি মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক।
বরং দিন দিন ইকো ধ্বংস করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙাচোরা সড়কের কারণে এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এসে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পর্যটকদের।
এ ছাড়া সরকারি উদ্যোগে পুরো এলাকাটিকে ঘিরে তৈরি করা হচ্ছে 'মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক'। শ্যামল সবুজ বনরাজি বেষ্টিত মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক, নয়নাভিরাম দৃশ্য, নান্দনিক পিকনিক স্পট, সুবিশাল পর্বতগিরি, পাহাড়ি ঝরনার প্রবাহিত জলরাশির কল কল শব্দ- সব মিলিয়ে মাধবকুণ্ড বেড়াতে গেলে পাওয়া যাবে এক স্বর্গীয় আমেজ। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের পাশেই রয়েছে কমলা বাগান।
রয়েছে লেবু, সুপারি ও পানের বাগান। ফলে মাধবকুণ্ড বেড়াতে গেলে সহজেই ঘুরে আসা যায় এসব বাগানে। এ ছাড়া মাধবকুণ্ড এলাকায় বাস করে আদিবাসী খাসিয়ারা। খাসিয়ারা গাছে গাছে পান চাষ করে।
মাধবছড়াকে ঘিরেই খাসিয়াদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়। ফলে আদিবাসী জীবনযাত্রা আর সংস্কৃতিও উপভোগ করা যাবে এখানে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে এলে চোখে পড়বে উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলায় দিগন্তজোড়া চা বাগান। টিলার ভাঁজে ভাঁজে খাসিয়াদের পানপুঞ্জি ও জুম চাষ। পাহাড়িদের সনাতনী বাড়িঘর জীবনযাত্রা দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব। যা পর্যটকদের কেবল আনন্দই দেয় না, গবেষক ও কবি-সাহিত্যিকরা খুঁজে পান লেখার রসদ। মাধবকুণ্ড অতীত থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।
প্রতি বছরের চৈত্র মাসে ভগবান মাধবেশ্বরের আশীর্বাদ নিতে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। বিশালাকার শিবলিঙ্গে পূজা হয়। কথিত আছে, শ্রীহট্টের রাজা গঙ্গাধ্বজ পাথারিয়া পাহাড়ে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ শুরু করলে সেখানে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মাটির নিচে একজন সন্ন্যাসীকে দেখতে পান।
সন্ন্যাসী বিসর্জিত হওয়ামাত্র তিনবার মাধব, মাধব, মাধব নামে দৈববাণী হয়। সম্ভবত এ থেকে 'মাধবকুণ্ড' নামের উৎপত্তি। আবার কারও কারও মতে, মহাদেব বা শিবের পূর্বনাম মাধব এবং এর নামানুসারেই তার আবির্ভাব স্থানের নাম 'মাধবকুণ্ড'।
মাধবকুণ্ড সিলেট সদর থেকে ৭২ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে ৩২ কিলোমিটার এবং কাঁঠালতলী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। দেশের যে কোনো জায়গা থেকে সড়ক পথে সরাসরি বাস নিয়ে আসা যায় মাধবকুণ্ডে।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের দেশজোড়া পরিচিতি আর পর্যটন আকর্ষণ থাকলেও এখানে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে কর্তৃপক্ষ একেবাড়েই উদাসীন। জলপ্রপ্রাতের ৫০০ একর এলাকাজুড়ে ২০০১ সালে ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এক যুগেও পূর্ণতা পায়নি মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক।
বরং দিন দিন ইকো ধ্বংস করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙাচোরা সড়কের কারণে এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এসে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পর্যটকদের।
জলপ্রপাতের ছবিটা বদলে দিলেই সর্বাংগ সুন্দর! যা নিজেদের নয় তা নিয়ে বড়াই করে কি লাভ?
ReplyDelete