অবিশ্বাস্য, আশ্চর্যজনক
হলেও সত্যি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) মূল
ভবন ও এনেক্স ভবনের বিভিন্ন রুমে দেদারসে চলছে ফেনসিডিল, ইয়াবা
ও গাঁজাসহ নানা মাদক সেবন। প্রতিষ্ঠানটির
কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী বহিরাগত
সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে এ মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে
পড়েছেন। সকালে অফিসে উপস্থিত হয়েই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদক গ্রহণের জন্য তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। লাঞ্চের আগে বা পর পরই তাদের রুম পর্যন্ত কালো ব্যাগে করে নিরাপদে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এ তালিকায় রয়েছে- ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ নানা মাদক। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও তাদের বন্ধু-বান্ধবরা বাইরে থেকে এসে মাদক সেবনের পর অবশিষ্ট অংশগুলো টয়লেট বা বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছেন। পাছে কোন বিপদে পড়েন এমন আশঙ্কায় ফেনসিডিলের বোতলগুলো ক্লিনাররা সরান না। ফলে মাদকসেবীরা বোতলগুলো যেখানে রাখেন সেখানেই থেকে যাচ্ছে। রাজউক ভবনে মাদক সেবনের মতো গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজউকে মাদকের অবশিষ্টাংশ পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। এতদিন বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। দুয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন দামি গাড়িতে করে প্রায় প্রতিদিনই বহিরাগতরা ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকের চালান নিয়ে রাজউক ভবনে হাজির হন। এরপর নির্ধারিত কিছু রুমে মাদকের চালান নিয়ে বহিরাগতরা নির্ধারিত রুমে উপস্থিত হচ্ছেন। এরপর সুযোগ মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফেনসিডিলসহ নানা মাদক গ্রহণ করছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের মূল ভবনের চার তলা ছাড়া সব ফ্লোরের টয়লেট, নিচতলায় মসজিদের টয়লেট এবং এনেক্স ভবনের পূর্বাচল প্রকল্প শাখা, আইন শাখা, এনেক্স ভবনের ছাদ এবং পূর্বাচল সেলে বিভিন্ন মাদকের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। এসব ফ্লোরকে তারা মাদক সেবনের নিরাপদ জায়গা হিসেবে মনে করছেন। মাদক সেবনের পর কাজ করার কারণে তারা রাজউক ভবনের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। গতকাল রাজউকের কয়েকটি সেকশনে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় ওই সব সেকশনের টয়লেট ও বেসিনে ফেনসিডিলের স্তূপ পড়ে আছে। বেসিন, কমোডসহ বিভিন্ন জায়গায় থরে থরে সাজানো রয়েছে ইংরেজিতে ‘ফেনসিডিল’ লেখা বোতলগুলো। বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানিয়েছেন, কে বা কারা এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারছি না। হয়তো বা বহিরাগতরা এমন কাজ করে থাকতে পারেন। তবে কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সহায়তা ছাড়া খোদ রাজউক ভবনে এমন অপকর্ম করার দুঃসাহস কারও থাকার কথা নয়। ওদিকে রাজউকের মাদক সেবনের পাশাপাশি নানা অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন তারা। কোন কোন ক্ষেত্রে ফাইলও গায়েব করে দিচ্ছেন মাদকসেবীরা। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক লীগের এক নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক সেবনকারীরা রাজউকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ওই শ্রমিক লীগ মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত এমন অভিযোগও করছেন কেউ কেউ। ওই নেতার সঙ্গে মাদক সেবনকারীদের বেশ সখ্য রয়েছে। তাদের এক সঙ্গে বসে গল্প গুজব করতে দেখা যায়। এজন্য চিহ্নিত ওই সব মাদকসেবনকারীদের ভয়ে রাজউকের নিরীহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অসহায় অবস্থায় রয়েছে। ওদিকে রাজউকে চিহ্নিত মাদকসেবনকারীরা ওয়ার্কচার্জড কর্মচারী হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ না করে সারাদিন তারা রাজউক ভবনেই কাটাচ্ছেন। ভবনে থেকে তারা মাদকসেবনের পাশাপাশি নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, পূর্বাচল, উত্তরা এস্টেট শাখার বিভিন্ন ফাইলের প্লটপ্রাপ্তদের ছবি কৌশলে বদল করে ফেলছেন। ইতিমধ্যে পূর্বাচল সেলে এর একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে রাজউক। ছবি বদলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চালু হয়েছে। পূর্বাচল সেল সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আদি অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাটিগরির প্লটপ্রাপ্তদের ফাইলের ছবি রাতারাতি বদল করে ফেলা হচ্ছে। এরপর যারা প্লট কিনে নিয়েছেন তাদের সঙ্গে দফারফা করছে একটি চক্র। তারাও কোন না কোনভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। রাজউকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে এমন অনৈতিক কাজ মেনে নেয়া যায় না। এটার একটা বিহিত হওয়া এখনই জরুরি।
পড়েছেন। সকালে অফিসে উপস্থিত হয়েই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদক গ্রহণের জন্য তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। লাঞ্চের আগে বা পর পরই তাদের রুম পর্যন্ত কালো ব্যাগে করে নিরাপদে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এ তালিকায় রয়েছে- ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ নানা মাদক। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও তাদের বন্ধু-বান্ধবরা বাইরে থেকে এসে মাদক সেবনের পর অবশিষ্ট অংশগুলো টয়লেট বা বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছেন। পাছে কোন বিপদে পড়েন এমন আশঙ্কায় ফেনসিডিলের বোতলগুলো ক্লিনাররা সরান না। ফলে মাদকসেবীরা বোতলগুলো যেখানে রাখেন সেখানেই থেকে যাচ্ছে। রাজউক ভবনে মাদক সেবনের মতো গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজউকে মাদকের অবশিষ্টাংশ পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। এতদিন বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। দুয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন দামি গাড়িতে করে প্রায় প্রতিদিনই বহিরাগতরা ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকের চালান নিয়ে রাজউক ভবনে হাজির হন। এরপর নির্ধারিত কিছু রুমে মাদকের চালান নিয়ে বহিরাগতরা নির্ধারিত রুমে উপস্থিত হচ্ছেন। এরপর সুযোগ মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফেনসিডিলসহ নানা মাদক গ্রহণ করছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের মূল ভবনের চার তলা ছাড়া সব ফ্লোরের টয়লেট, নিচতলায় মসজিদের টয়লেট এবং এনেক্স ভবনের পূর্বাচল প্রকল্প শাখা, আইন শাখা, এনেক্স ভবনের ছাদ এবং পূর্বাচল সেলে বিভিন্ন মাদকের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। এসব ফ্লোরকে তারা মাদক সেবনের নিরাপদ জায়গা হিসেবে মনে করছেন। মাদক সেবনের পর কাজ করার কারণে তারা রাজউক ভবনের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। গতকাল রাজউকের কয়েকটি সেকশনে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় ওই সব সেকশনের টয়লেট ও বেসিনে ফেনসিডিলের স্তূপ পড়ে আছে। বেসিন, কমোডসহ বিভিন্ন জায়গায় থরে থরে সাজানো রয়েছে ইংরেজিতে ‘ফেনসিডিল’ লেখা বোতলগুলো। বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানিয়েছেন, কে বা কারা এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারছি না। হয়তো বা বহিরাগতরা এমন কাজ করে থাকতে পারেন। তবে কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সহায়তা ছাড়া খোদ রাজউক ভবনে এমন অপকর্ম করার দুঃসাহস কারও থাকার কথা নয়। ওদিকে রাজউকের মাদক সেবনের পাশাপাশি নানা অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন তারা। কোন কোন ক্ষেত্রে ফাইলও গায়েব করে দিচ্ছেন মাদকসেবীরা। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক লীগের এক নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক সেবনকারীরা রাজউকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ওই শ্রমিক লীগ মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত এমন অভিযোগও করছেন কেউ কেউ। ওই নেতার সঙ্গে মাদক সেবনকারীদের বেশ সখ্য রয়েছে। তাদের এক সঙ্গে বসে গল্প গুজব করতে দেখা যায়। এজন্য চিহ্নিত ওই সব মাদকসেবনকারীদের ভয়ে রাজউকের নিরীহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অসহায় অবস্থায় রয়েছে। ওদিকে রাজউকে চিহ্নিত মাদকসেবনকারীরা ওয়ার্কচার্জড কর্মচারী হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ না করে সারাদিন তারা রাজউক ভবনেই কাটাচ্ছেন। ভবনে থেকে তারা মাদকসেবনের পাশাপাশি নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, পূর্বাচল, উত্তরা এস্টেট শাখার বিভিন্ন ফাইলের প্লটপ্রাপ্তদের ছবি কৌশলে বদল করে ফেলছেন। ইতিমধ্যে পূর্বাচল সেলে এর একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে রাজউক। ছবি বদলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চালু হয়েছে। পূর্বাচল সেল সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আদি অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাটিগরির প্লটপ্রাপ্তদের ফাইলের ছবি রাতারাতি বদল করে ফেলা হচ্ছে। এরপর যারা প্লট কিনে নিয়েছেন তাদের সঙ্গে দফারফা করছে একটি চক্র। তারাও কোন না কোনভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। রাজউকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে এমন অনৈতিক কাজ মেনে নেয়া যায় না। এটার একটা বিহিত হওয়া এখনই জরুরি।
সুত্রঃ বিডি নিউজ
owww what a country
ReplyDelete