NEWS

বাংলায় তুলি প্রযুক্তির সুর

12 Aug 2022

হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

  হতাশা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। জীবনের প্রতিটি মোরে আমরা হতাশার নাগাল পাই। এটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় না। কোনো কাজে ব্যার্থতা অথবা কোনো মানসিক আঘাত আমাদর মধ্যে হতাশার ও দুশ্চিন্তাকে জাগ্রত করে দেয়। 

হতাশা থেকে মুক্তির উপায়


আমরা যতই হতাশা থেকে মুক্তির উপায় তালাশ করি, ততই যেন হতাশা আমাদের ঘিরে নিচ্ছে। এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। 

কিন্তু অতিরিক্ত হতাশা মানুষের মনের মধ্যের আশাকে হত্যা করে দুশ্চিন্তার জন্ম দেয় যেটা আমাদের স্বাভাবিক জীবনের জন্য হুমকি। তাই আজকের এই ভিডিও আমি হতাশা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। 

হতাশার কারন কি?  

হতাশার সঞ্চার বিভিন্ন কারনে হতে পারে। আর্থিকভাবে অসচ্ছলতা,

 বেকার সমস্যা, চাকরি না পাওয়া, 

কোনো দূর্ঘটনা, কোনো কাজে ব্যার্থতার শিকার হওয়া ও আপনাজন বিয়োগ সহ বিভিন্ন কারনে আমরা হতাশায় পড়ে যাই।

 তবে তরুন সমাজের অধিকাংশই চাকরি না পাওয়া বা বেকার সমস্যার কারনেই হতাশায় থাকেন।  

হতাশা থেকে মুক্তির উপায় খোজার আগে আপনাকে হতাশার কারন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। কেন আপনি হতাশ হচ্ছেন? আপনার হতাশার মূল কারন কি? এসব আত্মকেন্দ্রিক প্রশের উত্তরের মাধ্যমে আপনার হতাশার কারন সন্ধান করতে হবে। এর পরেই আপনি হতাশা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর ওপর সফলভাবে কাজ করতে পারবেন। 

হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

হতাশা থেকে মুক্তির জন্য বিষেষজ্ঞ গন বেশ কিছু কার্যকারী উপায় উল্ল্যেখ করেছেন। এই ভিডিওতে আমি সেই সব উপায় আপনাকে জানাবো যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে হতাশা থেকে মুক্ত করতে পারবেন আশা করি। 


নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন

হতাশা থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আত্মবিশ্বাসী না হলে আপনি কোনো কাজে সফল হতে পারবেন না। 


 "আমি এ কাজটি করতে পারব না" এ ধারণাকে মুছে ফেলবে। সব সময় ভাববেন যে আপনি যেকোনো কাজ করতে পারবেন।


লক্ষ্য নিরধারণ করুন

হতাশা তখনই আপনাকে পেয়ে বসবে যখন আপনার কোনো লক্ষ থাকবে না। যার কোনো সঠিক গন্তব্য নেই, হতাশা তাকে সহজেই পেয়ে বসে। তাই নিজেকে মোটিভেট করার পরপরই আপনার গন্তব্য নির্ধারণ করুন।

লক্ষ্য নির্ধারণ শুধু হতাশা দূরকরনে কার্যকারী নয় বরং সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে একটি নোটিশ বোর্ড বা নোটবুকে আপনার লক্ষ্য অথবা Goal লিখে রাখতে পারেন। যেটা আপনি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্জন করার চেষ্টা করবেন।


নিজেকে প্রোডাক্টিভ কাজে বা কিছু শেখার কাজে ব্যাস্ত রাখা

কথায় আছে "অলস মস্তিস্ক শয়তানের বাসা"। যতক্ষন না আপনি কোন প্রোডাক্টে কাজ বা কোন কিছু শেখার পেছনে সময় ব্যয় করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি হতাশায় ভুগবেন। 

কোন কাজের পিছনে সময় ব্যয় না করলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক আর আপনার পিছিয়ে পড়ায় আপনার হতাশার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই হতাশা থেকে কাটিয়ে উঠতে দিনের বেশিরভাগ সময় কাজের পেছনে ব্যয় করুন।

কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।তাই সব সময় নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যাস্ত রাখুন।নিজেকে ব্যাস্ত রাখলে দেখবেন সময় খুব ভালো কাঠছে আর হতাশাও আপনাকে গ্রাস করতে পারবেনা।

তাই হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেকে সব সময় চেষ্টা করবেন ব্যাস্ত রাখার।


বাস্তববাদী হওয়া :- হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

অনেকে চারদিকের নানা মুনির নানা মত শুনে আপাদমস্তক চিন্তা ক’রে হতাশায় ভোগেন । কিন্তু এটা ভুল , মানুষ কী বলছে না বলছে সেদিকে তুমি কান না দিয়ে চোখ কান খুলে বাস্তববাদী হও । আল্লাহ প্রতিটি মানুষ কে ভিন্নভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে্ন সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন । কে কী বলল না বলল সেটার দিকে মন না দিয়ে বাস্তবতা কে কাজে লাগিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে ওঠো ।

কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা ভবিষ্যতে কোন ঘটনা ঘটতে পারে তার কথা আগে থেকে চিন্তা করে হতাশায় ভূগেন।তবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হতাশায় ভূগা মোটেও ঠিক নয়।

কারন জীবন মানেই কিছু ঘটনা থাকবে কিছু কাম্য নয় এমন ঘটনা ঘটবে তবে তার কথা চিন্তা করা ঠিক নয়।কারন জীবনে যেমন বিভিন্ন সমস্যা আসে তেমন সব সমস্যার সমধার ও কিন্তু রয়েছে।সময়ের সাথে সাথে আবার সব ঠিক হয়ে যায়।

কাজেই বাস্তববাদী হন এবং বাস্তবের সাথে খাপ খাইয়ে চলার মন মানসিকতা তৈরি করুন।দেখবেন হতাশা সহজে আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না।

 

শারীরিক ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করা

নিজেকে হতাশা মুক্ত রাখতে ব্যায়াম এবং মেডিটেশনের গুরুত্ব অনেক। শারীরিক ব্যায়াম মানুষের শরীর এবং মন দুটোকেই শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। ব্যায়াম করলে হতাশা গ্রস্ত হওয়ার হরমনের নিঃস্বরন কমে যায় এজন্য হতাশা মুক্ত থাকার অন্যতম উপায় হল নিয়মিত ২০/২৫ মিনিট ব্যায়াম করা। 

প্রাণ খুলে হাসুন । হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

হাসি হলো একটি মূল্যবান সম্পদ। মানুষ যদি হাসতে না পারত তবে তারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরত।২০০৫ সালের এক গবেষনায় জানা যায় সর্বদা গম্ভীর না থেকে প্রান খুলে হাসলে শতকরা বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।

যে মানুষ যত বেশি হাসি খুশি থাকবে সে মানুষ তত বেশি সুস্থ থাকে।হাসি মানুষের মনের মধ্যে জমে থাকা সব দুঃখ,কষ্ট,হতাশা দূর করে দিতে সাহায্য করে।

তাই হতাশা মুক্ত জীবনযাপন করতে সব সময় হাসুন,শুধু হাসি নয় প্রান খুলে হাসুন।দেখবে্ন আপনি সহজে হতাশা মুক্ত জীবনযাপন করতে পারবেন।


নির্ভূল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন।হতাশা থেকে মুক্তির উপায়।

সাধারনত যারা শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারি হতে চান তারাই বেশির ভাগ হৃদরোগে আক্রান্ত হয় বেশি।মানুষ মাত্রই ভূল।

সুতরাং মানুষের কাজে বিভিন্ন ভূল হতে পারে মানুষ কোন কাজ যে নির্ভূল ভাবে করতে পারবে তার কিন্তু কোন মানে নেই। সুতরাং আপনার কাজেও ভূল হতে পারে।

সব সময় যে আপনার কাজ ঠিক হবে এটা ধরে নেওয়ার কোন কারন নেই। কারন এতে আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করতে পারে।

তাই হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ভূল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। এতে দেখবেন আপনি হতাশা মুক্ত থাকতে পারবেন।


পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো।হতাশা থেকে মুক্তির উপায়।

হতাশা থেকে মুক্তির জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান।কারন অনেক সময় দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমানোর কারনে অনেক সময় মানুষ হতাশাগ্রস্থতায় ভূগে।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।দিনের পর দিন পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমানোর কারনে দেখা যায় মানুষ হতাশায় ভূগে।

তাই হতাশা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান।

শেষ কথা:-

ত বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের পোষ্ট হতাশা থেকে মুক্তির উপায়। ত আসা করছি আজকের পোষ্টটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।আপনাদের উপকার করতে পারলেই আমার রাত জেগে কষ্ট করে লেখা সার্থক হবে।

এবং আসা করছি হতাশা থেকে মুক্তির উপায় গুলো অনুসরন করে আপনারাও হতাশা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

ত আজ এই পর্যন্তই, সবাই খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,নিরাপদে থাকবেন আর আমার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

 শেষ কথারও শেষ কথা হলে যদি হতাশা মুক্ত জীবন চান তাহলে নিয়মিত নামাজ পড়ুন। 

নামাজ পড়া

 অতিরিক্ত হতাশা গ্রস্ত হলে নিয়মিত নামজ পড়ুন।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad