বার্গার, রোলস ইত্যাদির ভেতরে কিংবা বারবিকিউ হিসেবে বা সরাসরি রান্না করে আমরা নিয়মিত বহু লাল মাংস খাই। আর এতে ভালো-মন্দ উভয় বিষয়ই রয়েছে। এ লেখায় থাকছে লাল মাংস বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
- মাংসের আকার :
বড় মানেই সব সময় ভালো নয়। বিশেষ করে লাল মাংসের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। লাল মাংস ছোট করে কাটা উচিত, যার প্রতিটি টুকরো হতে পারে তিন থেকে চার আউন্স (৮৫ থেকে ১১৩ গ্রাম) ওজনের। - স্বাস্থ্যকর লাল মাংস :
সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর লাল মাংস পাওয়া যেতে পারে অর্গানিক মাংসের মধ্যে। অর্থাৎ গরুকে যদি শুধু ঘাস খাওয়ানো হয় তাহলে সে গরুর মাংস। এতে থাকবে অন্য গরুর চেয়ে বেশি ওমেগা থ্রিএস, ভিটামিন ই ও লিনোলেইক অ্যাসিড। - অস্বাস্থ্যকর লাল মাংস :
সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর লাল মাংস বলতে শুকরের প্রক্রিয়াজাত মাংস বোঝায়। এ মাংসটি যেভাবেই ভোক্তার কাছে উপস্থাপন করা হোক না কেন, এর ক্ষতিকর দিক থাকবেই। - পুষ্টিগত বিষয় :
তিন আউন্স লাল মাংস থেকে আপনি দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার প্রায় অর্ধেক (২৫ গ্রাম) মেটাতে পারেন। এ ছাড়া ভিটামিন বি৬ ও বি১২-এর উৎস হিসেবেও তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ (এটি আমাদের উদ্যমী হতে সহায়তা করে)। এ ছাড়া জিংক ও আয়রন থাকে এতে। জিংক দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং আয়রন অক্সিজেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। - হৃদরোগে ভূমিকা প্রমাণিত নয় :
লাল মাংস হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়- এমন ধারণা করা হয় বহুদিন আগে থেকেই। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি যে, লাল মাংসের সঙ্গে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের কোনো সম্পর্ক আছে। - অ্যালার্জি :
টিক নামে ক্ষুদ্র একপ্রজাতির প্রাণীর কামড়ে মানুষ লাল মাংসের প্রতি অ্যালার্জিপ্রবণ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে অনেকেরই লাল মাংস খাওয়ার পরে নানা শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে যাদের অ্যালার্জি নেই তারা এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকে।
No comments:
Post a Comment