আপনি হয়তো ঘুমাচ্ছেন ।ঘুমানোর একটা সময় হঠাত্
আপনি অনুভব করলেন আপনার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
! শ্বাস নিতে পারছেন না
! মনে হচ্ছে যেন ভারী কিছু একটা আপনার বুকের উপর বসে আছে
!
গলায় হাতের স্পর্শ পেলেন
! আপনি সবই বুঝতে পারছেন
, কিন্তু আপনার সারা শরীর অবশ হয়ে আছে
! ঘাম দিয়ে আপনার ঘুম ভাঙলো । আর তখনই আবিষ্কার করলেন অদ্ভূত দর্শন কিছু একটা আপনার বুকের উপর বসে আপনার গলা চেপে ধরে আছে
! কেমন লাগবে তখন আপনার
??
এই ধরনের অবস্থাকে আমরা সাধারণত
” বোবায় ধরা
” বলে থাকি । অনেকে এটা ” বোবা জ্বীন ” ধরাও বলে থাকে । মেডিকেল সাইন্সের দিক থেকে বিচার করতে গেলে বোবায় ধরা অবস্থার ১০১ টা কারণ দেখানো যাবে । কিন্তু আমরা সাইন্স দিয়ে এই বোবায় ধরা বিষয় কে ব্যাখ্যা করতে যাচ্ছিনা । চলুন বোবায় ধরার অজানা বিষয় এবং ঘটনাগুলো জানা যাক ভৌতিক এবং অবৈজ্ঞানিক বিচারে ।
এক লোককে প্রায়ই বোবায় ধরতো । বোবায় ধরা অবস্থায় তিনি একটা স্বপ্নই দেখতেন । তিনি দেখতেন যে , এক
বিদঘুটে বৃদ্ধা মহিলা
, যার সাদা চুল
, সারা মুখ আগুনে ঝলসানো
, তার বিছানার পাশে বসে রয়েছে । এক পর্যায়ে বৃদ্ধা চলে যেত এবং যাওয়ার আগে লোকটার মুখে একদলা থুতু ছিটিয়ে দিত । লোকটার ঘুম সাথে সাথেই ভেঙে যেত এবং তিনি তার মুখে থুতু আবিষ্কার করতেন
!!
আরেক লোক কে একবার বোবায় ধরেছিলো । তিনি স্বপ্ন দেখছিলেন যে
, তিনি খোলা মাঠে শুয়ে আছেন। আকাশ দিকে মুখ করে । হঠাত্ তিনি আকাশের দিকে উঠতে শুরু করলেন
! একটু উঠার পর তার ঘুম ভেঙে যায় । আর তখনি তিনি বিছানা থেকে নিজেকে প্রায় ছয় ফুট উপরে দেখতে পান
! তারপর সশব্দে তিনি তার বিছানায় আছড়ে পড়লেন!!
এক মহিলার স্বামীকে প্রতিদিনই বোবায় ধরতো । বোবায় ধরার পর
স্বামী ছটফট করা শুরু করলে মহিলা তাকে হাত ধাক্কা দেন । এরপর স্বামী স্বাভাবিক ভাবে ঘুমাতে পারেন । এক রাতে মহিলা তার স্বামীর গোঙানির শব্দ শুনতে পেলেন । মহিলা না তাকিয়েই স্বামীকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিলেন । তারপরেও স্বামীর গোঙানি থামছিল না । মহিলা উঠে বসলেন । স্বামীর দিকে তাকালেন ।তাকিয়েই মহিলার ভয়ে একটা হার্টবিট মিস হলো
!তিনি দেথলেন
, তার স্বামী গভীর ঘুমে অচেতন। গলা দিয়ে গোঙানি বের হচ্ছে । আর তার বুকের উপরে আনুমানিক ৪ বছরের কালো কুচকুচে রঙের একটা বাচ্চা বসে গলা টিপে ধরে রেখেছে
! মহিলার সাথে বাচ্চাটার কয়েক সেকেন্ডের চোখাচোখি হল । কি ভয়ংকর সে
চাহনি
!তারপর পরই বাচ্চাটা লাফ দিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে চলে যায়
!
অনেকেই বোবায় ধরা অবস্থায় এমন কিছু দেখে থাকেন অথবা আভাস পান
, যার সাথে ভবিষ্যত্ এর কিছু কিছু ঘটনা মিলে যায় । বোবায় ধরা যেহেতু ঘুমের সাথে সর্ম্পকিত
, তাই এই ঘুম জগতে এমন সব বিষয় ঘটে থাকে যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়না । মানুষ ঘুমের মাধ্যমেই ভবিষ্যতের আভাস পেয়ে থাকে
, জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে
, এমনকি মৃত্যুর কাছাকাছি পর্যায়ে যেতে পারে যেটাকে
” নেয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স
” অথবা” আফটার লাইফ
” বলে । এ বিষয়ে অন্য কোন সময় আলোচনা করা যাবে।
আল্লাহ মানুষকে সমস্যা যেমন দিয়েছেন
, তেমনি সমাধানের ব্যবস্থা করেও দিয়েছেন ।
ঘুমাতে যাবার আগে ৩বার সূরা ফাতিহা
, ৩ বার সূরা ইখলাছ এবং ৩ বার দরুদ শরীফ অথবা আয়াতুলকুরসী পড়লে বোবায় ধরার সম্ভাবনা থাকবে না,
দুঃস্বপ্ন দেখার মাত্রা কমে যাবে । অনেকেই বুকে আরবীতে “উমার” ( আঈন , মিম , রা ) লিখে ঘুমান । সেটা করলেও হয়তো ঘুমের ভিতর উল্টাপাল্টা কিছু হয়না । তবে সূরা পড়াই সবচেয়ে ভালো । (অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের পবিত্র কোন বাক্য বা শ্লোক বা দুআ পড়তে পারেন
)
বোবায় ধরার ব্যাপারটা যদি অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায় তাহলে কোন বিজ্ঞ হুজুরের পরামর্শ মোতাবেক তাবিজ ব্যবহার করা যেতে পারে ।
একটু পর হয়তো আপনি ঘুমাতে যাবেন । আপনি কি চান ঘুমের মধ্যে কালো কিছু একটা আপনার বুকের উপর বসে গলা চেপে ধরুক??
ঘুমের মধ্যে আমাদের ইচ্ছার প্রাধান্যই বা কতটুকু থাকে
?
আমাদের সাথে থাকুন ফেসবুকে লাইক ইনফো ওয়ার্ল্ড
No comments:
Post a Comment