একটি যুগলের প্রেম দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে রূপ নেবে কি না, তার ইঙ্গিত মস্তিষ্কেই লুকিয়ে আছে।সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এ রকম কিছুসংখ্যক যুগলের ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এ কথা বলছেন। তাঁদের মস্তিষ্কে সংঘটিত ক্রিয়াকলাপের ধরন বিশ্লেষণ (স্ক্যান) করে তাঁদের সম্পর্কের এ ব্যাপারে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
যুগলের উভয়ের স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়াকলাপে স্পষ্ট ধরা পড়ে পরস্পরের প্রতি অনুভূতি পরবর্তী তিন বছরএকসঙ্গে থাকার মতো যথেষ্ট গভীর কি না।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে অবস্থিত স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনস্তত্ত্ববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আর্থার অ্যারন বলেন, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছয় জোড়া নারী-পুরুষের সবাই নিজ নিজ সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে বছর খানেক ধরে প্রেম করছিলেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যাদের প্রেম তখনো টিকে ছিল সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কথা ভাবলে তাদের মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশে বাড়তি মাত্রার তৎপরতা চলে, যা স্ক্যানে ধরে পড়ে। মস্তিষ্কের ওই অংশটি শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি সাড়া দেওয়ার কাজটি করে থাকে। পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বা উপহার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও তৈরি হয় ওই নির্দিষ্ট অংশ থেকে।
ওই সফল জুটির ক্ষেত্রে মোহ বা পুরস্কার কামনা করে মস্তিষ্কের এমন অংশে আবার তৎপরতা কম থাকে।বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অংশের নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সন্তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির সম্পর্ক আছে। এদের মস্তিষ্কের আরেকটি বিশেষ অংশও কম সক্রিয় ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই অংশটি কম সক্রিয় থাকলে মানুষ তাঁর সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সমালোচনা বা খুঁত ধরা কম করে। তাঁরা বলছেন, সম্পর্ক টেকার রহস্য হয়তো এটাই।
সুত্রঃ প্রথম আলো।
No comments:
Post a Comment