দুনিয়াতে রহস্যের শেষ নেই।সুদূর প্রাচীনযুগ থেকেই রহস্য পৃথিবীর মানুষকে করেছে রোমাঞ্চিত,ভীত,উৎসাহী।আর তাদের মধ্যে যারা গবেষণার অ্যাডভেঞ্চারে নেমে পড়েছে এসব রহস্যভেদে তারা এখনও এসব রহস্যের পেছনের কথা বের করতেপারেন নি।আবার কিছু
হ্
হ্
মেত্রে আংশিক পারলেও পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসেনি কখনও।এমনই একটি রহস্যময় জায়গার কথন আজকের এই পোস্ট।
এটা নিশ্চিত যে ফারাও রাজাদের মমি তৈরী করে পিরামিডে রাখা হত এবং অনেক রহস্যই আজ উন্মোচনের পথে,কিন্তু পিরামিডের নির্মাণশৈলী,নির্মাণের তারিখ এবং সম্ভাব্য প্রতীকগুলোর ব্যাপারে এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি।এই রহস্যটি কেবল এই প্রাচীন বিস্ময়গুলির আকর্ষণে
নয় সেই সাথে অনেক আধুনিক মানুষই এসব পিরামিডকে আধ্যাত্মিক জায়গা হিসেবে স্বীকার করেছেন।এগুলো হল সেই পিরামিড যা নিয়ে খোড়াখুড়ি করা গবেষক,নিরাপত্তা পর্যবেহ্মকের অনেকেই কেউ দুর্ঘটনায়,কেউ অনারোগ্য কঠিন রোগ,কেউবা খুন হয়ে এমনকি আত্মহত্যা করে,কেউ হার্ট এ্যাটাকে মারা গিয়েছেন।এক কথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু কেড়ে নিয়েছে তাঁদের জীবন।কথিত আছে কোন ব্যাক্তি তুতেনখামুনের মৃত্যুর পর সেই আমলে সিল করে দেওয়া তাঁর মমির ঘরটি খুললেই সে ব্যাক্তি বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় জর্জরিত হবে যার ফলে তার মৃত্যুও ঘটতে পারে।
১৯২৩ সালের মার্চের শেষনাগাদ নোবেলজয়ী ম্যারি করেলি(ম্যারি ম্যাককেই)একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করেন যে সিল করে দেওয়া তুতেনখামুনের লাশ ঘরটিতে প্রবেশ করলে বিপদজনক কিছু ঘটতে পারে।
ধারণা করা হয় ম্যারি এই বার্তাটি প্রকাশ করেন এই খবরটি থেকে প্রভাবিত হয়ে যে,যেদিন হাওয়ার্ড কার্টার নিষিদ্ধ মমির ঘরটি খোলেন,সেদিন তাঁর আদরের পোষ্য ক্যানেরিকে একটি গোখড়া গিলে খেয়ে নেয়।উল্লেখ্য,তখনকার দেবী গোখড়াসাপ তুতেনখামুনের মমির রহ্মক !
১৯২২ সালের নভেম্বরে হাওয়ার্ড কার্টার তুতেনখামুনের মমি আবিষ্কার করেন।লর্ড কারনারভন এক ধনাঢ্য ব্যক্তি সেই অভিযানে অর্থ বিনিয়োগ করেন।আগে থেকেই তিনি একটি মোটর দুর্ঘটনায় ২০ বছর অসুস্হ থাকেন।তবে এই অর্থ বিনিয়োগের পর ৫ই এপ্রিল,১৯২৩সালে তিনি কায়রোতে মৃত্যুবরণ করেন।
একই সময়ে ইংল্যান্ডেও তাঁর কুকুর সুসি গর্জন করতে করতে মৃত্যুবরণ করে।ঠিক তার কয়েক সপ্তাহ আগেই ম্যারি করেলি সেই সতর্কবার্তা প্রকাশ করেন।এই ঘটনার পর দুনিয়ার মিডিয়াজগতে বিস্ময়ের আবহাওয়ায় ছেয়ে যায়(তখনকার মিডিয়া বলতে ছিল শুধুমাত্রই পত্রিকা এবং যোগাযোগ ব্যবস্হা ছিল খুবই ধীরগতির)।
যদিও অনেকের কাছে কুসংস্কার,কিন্তু তখনকার সময়ে মমির অভিশাপের কথা জনমনে আরও বেশী গেঁথে যায় যখন জনপ্রিয় শার্লক হোমসের স্রষ্টা কোনান ডয়লে ঘোষণা করেন যে লর্ড কারনারভানের মৃত্যু মমির অভিশাপের কারণেই হতে পারে।
তখনকার একটি পত্রিকা দাবী করে বসে যে তারা সেই মমিঘরে একটি অভিশাপপত্র আবিষ্কার করে যেখানে লেখা আছে,
"They who enter this sacred tomb shall swift be visited by wings of death."
এই ধরণের আরও কিছু সতর্কবার্তা আবিষ্কার হয় এই ঘর থেকে যা নিম্নরূপ:
"It is I who hinder the sand from choking the secret chamber. I am for the protection of the deceased".
একজন রিপোর্টারের ভাষায়,
"and I will kill all those who cross this threshold into the sacred precincts ofthe Royal King who lives forever."
পরবর্তী সময়ে ২৬ জন মানুষ এই তুতেনখামুনের মমি নিয়ে গবেষণা ও খোড়াখুড়ি শুরু করার কিছু সময়ের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন
No comments:
Post a Comment