পড়ালেখার কারণে বাড়ি ছেড়ে
অনেক ছাত্রছাত্রীই ঢাকা শহরে ব্যাচেলর হয়ে যায়। থাকে ব্যাচেলর মেসে। অর্থনৈতিক
মানদণ্ডের ওপর ব্যাচেলর এক ছাত্রের এক মাসের হাইলাইটস দেখুন।
মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ
মাসের এই সময়টায় একজন
ব্যাচেলর নিজেকে রাজা মনে করে। বাবা টাকা পাঠিয়েছে। হেব্বি করে খাওয়াদাওয়া,
পেট ভর্তি, মোবাইলের পেটও ভর্তি—একে কল দেয়, ওকে কল দেয়।
টুকটাক শপিং, টুকটাক ভ্রমণ। যাদের
গার্লফ্রেন্ড আছে, তাদের ডেটিংয়ের পরিমাণও
কিঞ্চিৎ বেড়ে যায়। কোনো খোলা উদ্যানের বদলে ডেটিং হয় আলো-আঁধারি রেস্টুরেন্টে,
স্টার সিনেপ্লেক্সে দু-একটা মুভি না দেখলে কি
আর চলে?
এই সময়কার ফেসবুক
স্ট্যাটাসের ধরন হয় জীবনটা অনেক সুন্দর এবং অর্থবহ অথবা আমরা সবাই রাজা টাইপের।
১০ থেকে ২০ তারিখ
এই বিল, ওই বিল দেওয়ার পর্ব শেষ করে একজন ব্যাচেলর এ সময়
মধ্যবিত্তের মায়াজালে পড়ে যায়। হিসাব করতে হয় মাস শেষ হতে আর কত দিন। দিনে কত টাকা
খরচ করলে মাসটা ঠিকভাবে যাবে।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসের ধরন
পাল্টে যায়। কাব্যিক স্ট্যাটাসের জয়জয়কার দেখা যায়।
২০ থেকে ২৫ তারিখ
‘দোস্ত, আমারে ৫০০ টাকা দে তো’—এটা হচ্ছে ২০ তারিখের পর ব্যাচেলরের জাতীয় ডায়ালগ। এর কাছ
থেকে ২০০, ওর কাছ থেকে ৫০০—এভাবেই চলে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ অথবা ‘বৈষম্যহীন জীবন
চাই’।
২৫ থেকে শেষ দিন
এটাকে ভয়ংকর সাত দিন বলা
যেতে পারে। বেশির ভাগ ব্যাচেলরের অবস্থা হলো ‘খাবার প্লেটে আলুভর্তা-ডাল, পৃথিবীটা আলুময়, শূন্য মোবাইল ফোন, সবকিছুতে মেজাজ
খারাপ। বাকি দোকান আর ব্যাচেলর একাকার হয়ে যায়, ঘুম আর ঘুম। কারণ, ঘুম থেকে উঠলেই বের হতে হবে আর বের হলেই খরচ।
No comments:
Post a Comment