বাড়িয়ে তুলুন স্মরণ ক্ষমতা: আপনি আজকের
দিনে করবেন এমন ১০টি বা তার ততোধিক কাজের একটা
‘করণীয় তালিকা’ বা
‘to do list’ স্মরণে রাখুন অর্থাৎ কাগজে
না লিখে তা মুখস্থ করে রাখুন। এটা আপনার স্মরণ ক্ষমতা তথা মেমরি বাড়ানোর একটা
উপায়।
এই হতে পারে,
এ করণীয়
তালিকাটি স্মরণে আনতে চেষ্টা করবেন কাজে যাওয়ার সময়, কিংবা খেলতে যাওয়ার সময়- তখন মনে মনে একটা সংযোগ গড়ে তুলতে চেষ্টা করবে কাজ ও কাজের স্থানটির মধ্যে। যেমন সংবাদপত্র কিনতে হবে সংবাদপত্রের দোকান থেকে, সড়কের কিনারের দোকানটায় কাপড় দিয়ে যেতে হবে ড্রাই ক্লিনিংয়ের জন্য, কাফের বাইরে থেকে বাড়িতে ফোন করতে হবে ইত্যাদি।
তালিকাটি স্মরণে আনতে চেষ্টা করবেন কাজে যাওয়ার সময়, কিংবা খেলতে যাওয়ার সময়- তখন মনে মনে একটা সংযোগ গড়ে তুলতে চেষ্টা করবে কাজ ও কাজের স্থানটির মধ্যে। যেমন সংবাদপত্র কিনতে হবে সংবাদপত্রের দোকান থেকে, সড়কের কিনারের দোকানটায় কাপড় দিয়ে যেতে হবে ড্রাই ক্লিনিংয়ের জন্য, কাফের বাইরে থেকে বাড়িতে ফোন করতে হবে ইত্যাদি।
নিজেকে এসব প্রশ্ন করুন: সংবাদ পত্র
কেনার পর কোন কাজটা করতে হবে?
বাড়িতে ফোন করার
আগে কোন কাজটা
করতে হবে? করণীয়
তালিকার দ্বিতীয় কাজ কোনটি? ড্রাই ক্লিনারের বিষয়টি তালিকার কত নম্বর স্থানে আছে?
পরদিন বের হন ২০টি
কাজের তালিকা মুখস্ত করে বা স্মরণে রেখে। এভাবে ধীরে
ধীরে তালিকা দীর্ঘ
করতে পারেন দিন দিন। দেখবেন একই ভাবে বাড়ছে আপনার
স্মরণশক্তি।
স্থান – সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ান: ঘরে বসে চোখ বন্ধ করে ভাবুন কোথায় কোন পথে যেতে হবে। একটি চেয়ারে বসে মানসিকভাবে আপনার বাড়ির চার পাশে
ঘুরুন।
চলার সময় মনে মনে প্রতিটি দৃশ্যমান বস্তু দেখুন। অতপর একটা ট্রে’র মাঝে ১২টি
বস্তু রেখে এগুলোর অবস্থান মনে রাখতে
চেষ্টা করুন। তখন কাউকে বলুন এর কয়েকটি সরিয়ে ফেলতে।
আন্দাজ করুন কোনগুলো সরিয়ে
ফেলা হয়োছে। এতে করে আপনার স্থান-সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়বে।
বেশি থেকে বেশি সংখ্যা নিয়ে চর্চা করুন: প্রতিদিন এ অনুশীলন চালিয়ে যান। আপনার কেনা সামগ্রীর দাম পরিশোধের আগে মনে মনে যোগ করে ফেলুন।
বিলগুলো হাতে পেলে
সেগুলোকে আলাদা আলাদা
ভাগ করে মিলিয়ে নিন।
কতগুলো জিনিস পেছনে
ফেলে এলেন তার সংখ্যা আন্দাজ করুন-
যেমন কতটা গাছ পেছনে ফেলে এলেন,
কিংবা কতজন মানুষের একটি দল। কিংবা একটা বাগানে আছে কতগুলো গাছ। আপনার মনকে সব সময় কর্মতৎপর কিংবা চটপটে রাখলে এবং সব সময় সচল রাখলে সংখ্যা গত বিষয় নিয়ে , তাহলে
আপনার
গাণিতিক তীক্ষ্ণতা আর প্রজ্ঞা বাড়বে।
বাড়িয়ে তলুন শব্দক্ষমতা: যতটুকু সম্ভব
আপনার ওয়ার্ড পাওয়ার বা শব্দক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন। শব্দের খেলা খেলুন
ও দেখুন। সময় ধরে এ খেলায় মাতুন। প্রতিদিন কিছু
নতুন শব্দ শিখুন
এবং তা সুযোগ
পেলেই মাঝে মধ্যে
ব্যবহার করুন। তৈরি করুন শব্দের অ্যানাগ্রাম।
একটি শব্দের বা বাক্যাংশের বর্ণগুলো পরিবর্তন করে নতুন ভিন্ন শব্দ
বা বাক্যাংশ গঠনের নাম অ্যানাগ্রাম।
একটা দিন কাটিয়ে দিন না শব্দ
নিয়ে নানা বিশ্রিঙ্খলার ওপর কাজ করতে । এতে করে একটা
শব্দের অর্থ বোঝার
ক্ষমতা আপনার বেড়ে
যাবে।
উপরের কাজ গুলো একটু
একটু করে অভ্যাসে পরিনত করতে চেষ্টা করুন।
তাহলে দেখবেন আপনার
মনে রাখার ক্ষমতা, ধী শক্তি, বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষনতা ইত্যাদি বাড়বে। আপনি পড়ালেখায় আরও মনযোগী হতে পারবেন। খুটিনাটি কোন বিষয়ই আপনার
চোখ এড়াবে না।
ফেসবুকে আমাদের সাথেই থাকুন । লাইক Info world
No comments:
Post a Comment