আড্ডায় বা পার্কের
বেঞ্চের প্রিয় খাবারটি হলো বাদাম ভাজা। আমরা অনেকেই জানি না যে বাদাম ভাজা বা লবণ-মসলায় মাখানো
বাদামের চেয়ে শুধু খোসা ছাড়ানো বাদামই যথেষ্ট পুষ্টিসমৃদ্ধ। এতে রয়েছে
প্রচুর
পরিমাণ প্রোটিন, যা দেহ গঠনে ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে।
বাদামে অলিক এসিড নামের
একধরনের এসিড থাকে, যা রক্তের খারাপ চর্বি
বা কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল বাড়িয়ে
দেয়।
তারুণ্যকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে এর ভূমিকা অপরিহার্য।
বাদামে ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে পর্যাপ্ত।
চানাচুরের বাদাম, প্যাকেটজাত বাদাম বা
বাজারের খোলা বাদামে পুষ্টিগুণ কমে আসে
অনেকখানি। তাই খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খাওয়াই উত্তম।
এতে রয়েছে খনিজ লবণ ম্যাগনেশিয়াম। দেহের জন্য
জরুরি এই উপাদানটি দাঁতও দাঁতের মাড়ি করে মজবুত এবং ত্বক ও চুলকে করে উজ্জ্বল, মসৃণ।
শরীরে রক্ত তৈরির প্রধান
উপাদান হলো আয়রন। আয়রন সুষ্ঠুভাবে তৈরি হওয়ার জন্য বাদাম রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই
গর্ভস্থ শিশু, বাড়ন্ত শিশু, বয়স্কদের জন্য বাদাম উপকারী খাবার।
যেসব শিশুর বারবার ডায়রিয়া হয়,
তাদের জন্যও বাদাম জরুরি পথ্য। কারণ, এতে জিঙ্কের পরিমান বেশি। আর জিঙ্ক ডায়রিয়া-পরবর্তী জটিলতা
দূর করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রোগীদের কিডনিতে সমস্যা থাকলে বাদাম খাবেন না। কারণ,
বাদাম উচ্চমাত্রার প্রোটিন বা আমিষের অধিকারী।
তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ হলে বাদাম খেতে পারেন।ফেসবুকে আমাদের সাথেই থাকুন । লাইক Info world
No comments:
Post a Comment